শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা ও মধ্যবাড্ডার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, কচুর লতি, ঢেঁড়শসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন কেজি প্রতি ৮০ টাকার উপরে। কিছু সবজি যেমন বরবটি, কচুর লতি, পটোল, চিচিঙ্গা, বেগুন, শালগম ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এবং কাঁকরোল ও শজনের দাম পৌঁছেছে ১২০-১৬০ টাকায়। সবচেয়ে কম দাম এখন টমেটোর, যা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, তবে অন্যান্য সবজি এবং কাঁচামরিচের দামও অনেকটা বাড়তি।
বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বাড়ায় তাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, যার কারণে তারা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। আজমপুর কাঁচাবাজারের বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন জানান, বিশেষ করে শীতের পর বিভিন্ন সবজির চাষে খরচ বেড়েছে, ফলে বাজারে আসা সবজিগুলোর দামও বেশি। এসব সবজি নিয়ে পরিবহন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে দাম আরও বাড়ছে।
পেঁয়াজের দাম নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে, এবং আমদানি করা পেঁয়াজও কম পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ক্রেতারা বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে, সাধারণ ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আবু সালেহ নামক এক ক্রেতা জানান, পরিবারের জন্য বাজার করতে এসেছিলেন, কিন্তু সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি প্রয়োজনের অর্ধেক পরিমাণ কিনে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
বাজারে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে অনেক ক্রেতা মনে করেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম বাড়ানোর অন্যতম কারণ, এবং পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বিক্রেতারা যে দামে কিনছেন তা অনেক বেশি দামে বিক্রি করছেন। সরকারের তরফ থেকে এসব বিষয়ে নজরদারি আরও কঠোর করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করছেন তারা।