অবশেষে অনশন ভাঙলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা !

নিজস্ব প্রতিবেদক
সামির আসাফ, প্রতিনিধি ( ঢাকা )
প্রকাশিত: সোমবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:১১ অপরাহ্ন
অবশেষে অনশন ভাঙলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা !

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরণ অনশন শুরু করা শিক্ষার্থীরা সরকারের আশ্বাসের পর অনশন ভাঙলেন। সোমবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মণ্ডলের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করেন। এসময় অধ্যক্ষ একজন শিক্ষার্থীকে আমের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান।  


শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনে পরীক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছেন এবং তাদের স্নাতক শ্রেণির একটি বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা রয়েছে, যা স্থগিতের দাবি জানানো হয়। তবে কলেজ অধ্যক্ষ জানান, এটি তার এখতিয়ারের বাইরে। শিক্ষার্থীরা উপস্থিত যুগ্ম সচিবের কাছে আগামী সাত দিনের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরি করার দাবি জানান। যুগ্ম সচিব বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হবে বলে আশ্বাস দেন।  


সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তারা মিছিল, সড়ক ও রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান ও ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে।  


তবে ইতিবাচক অগ্রগতি না দেখে গত ২৯ জানুয়ারি বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন। টানা পাঁচ দিন অনশনের পর সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব আসে।  


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে কীভাবে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে তিনি জানান।  


অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারের আশ্বাসে তারা আপাতত অনশন প্রত্যাহার করলেও, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। তারা বলেন, আমরা চাই, শিক্ষামন্ত্রীর সরাসরি আশ্বাস এবং বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ দেখা যায়।  


অধ্যক্ষ শিপ্রা রাণী মণ্ডল বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক এবং কর্তৃপক্ষ এটি বিবেচনা করছে। তবে বিষয়টি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।  


সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হলে বৃহৎসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত।