রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সরকারি কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। কলেজটির শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কঠোরভাবে পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে সংগঠনটির ফেসবুক পেজে ঘোষণা করা হয়, ‘এখন মানে এখনই ব্যারিকেড, সবাই তাহবান্দে আসুন’ এবং ‘দাবি আদায়ের এক পথ, রাজপথ রাজপথ’ সহ বিভিন্ন ধরনের আহ্বান জানানো হয়। তারা জানায়, ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সড়ক ও রেল অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তাদের আন্দোলনকে সরকারের খামখেয়ালি না বানিয়ে এক্ষুনি সমাধান বের করতে হবে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান বলেন, "আপনাদের (সরকারের) খামখেয়ালি আমাদের রাজপথে আন্দোলনে নামাতে বাধ্য করছে। আমাদের আন্দোলনের কারণে সৃষ্টি হওয়া জনদুর্ভোগের জন্য আপনারা দায়ী।"
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাবির পক্ষে আন্দোলন করে আসছে। এ দাবির মধ্যে রয়েছে, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, এবং শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ।
গত ২৯ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা যোগ করে আমরণ অনশন এবং অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে। তাদের ৭ দফা দাবি তুলে ধরে তারা সরকারের কাছে তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি হলো: তিতুমীর কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন, ১০০% শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক মানের দুটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ যোগ করা, যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডি শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধি, এবং গবেষণাগার নির্মাণের জন্য জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি আদায় না হলে তারা আরও বড় আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং তাদের দাবির প্রতি যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়া হলে তারা সরকারকে রাজপথে নামিয়ে আনবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।