এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাথী দাস জানান, অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন প্রতিরোধ এবং সড়কে জানমালের নিরাপত্তা ও সড়কের ক্ষতিরোধ নিশ্চিত করতে অভিযান চালিয়ে ৩টি মাটিবাহী ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ সময় চালকেরা ট্রাকগুলো ফেলে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ট্রাকগুলো উপজেলা পরিষদের চত্বরের পাশে রাখা হয়েছে।
জব্দকৃত ট্রাক গুলোর মালিকেরা আসলে তাদের বালু, মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মোটা অংকের টাকা জরিমানা আদায় করা হবে এবং তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হবে তারা যেন কোন জমি পুকুর থেকে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি না করে।
তিনি আরো জানান, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দিনে বা রাতে কোন প্রকার মাটি বা বালু কেটে বিক্রি করা যাবে না। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে সব সময় কড়া নজরদারি রেখেছে। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দিনের পরিবর্তে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত চলছে মাটি কাটার উৎসব। স্থানীয় প্রশাসন জেল জরিমানা, মাটি ভর্তি ট্রাক ও ভেকু জব্দ করেও মাটি কাটা থামানো যাচ্ছে না।
স্থানীয়দের দাবী, এ কাজগুলোর পেছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। বছরের পর বছর এ ধ্বংস নীলা চলার কারণে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ, নষ্ট হচ্ছে জীব বৈচিত্র, কমে যাচ্ছে মাঠের ফসল। অপরদিকে গ্রামীণ সড়কে মাটি ভর্তি ভারী যান চলাচলের ফলে ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়ক। দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
অপরদিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে মহাসড়ক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খোলা ট্রাকে বালু পরিবহনের কারনে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বালু পড়ে যাত্রী ও জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতে প্রতিকার চেয়েছে সাধারণ জনগণ।