প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১৪:৫১
নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও নগদ অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ।
গত রোববার দিনব্যাপী পরিচালিত এই অভিযানে সদর উপজেলার সোনাপুর বাসস্ট্যান্ড এবং বেগমগঞ্জের আনন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স এই এলাকাগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে মাদক সেবন ও বিক্রির সময় ১১ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার মো. হাসান ও আমজাদ হোসেন, বেগমগঞ্জের আবুল কালাম, হেলাল হোসেন, মনির হোসেন, ইয়াছিন, গিয়াস, স্বপন, লক্ষ্মীপুরের মিহির শাহা, মো. সজিব ও চাঁদপুরের মো. পারভেজ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা ও ৪ লিটার চোলাই মদ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহিম হাসান খান এবং বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান। অভিযানে সহায়তা করে আনসার ব্যাটেলিয়নের একটি দল।
ঘটনাস্থলেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪ জনকে ৭ দিন এবং ৭ জনকে ৩ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মোট ৫৫০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ঘটনাস্থলেই এই রায় প্রদান করেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়।
সুব্রত সরকার শুভ বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযান আমাদের চলমান কার্যক্রমের অংশ। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। এই ধরনের তৎপরতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলে মাদকবিরোধী কার্যক্রম আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করছে।
এ ধরনের অভিযান মাদক নির্মূলে কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি, নিয়মিত অভিযান চালিয়ে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হলে সমাজে মাদকের প্রভাব কমবে।