প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১৮:২৬
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সম্প্রতি ইরানের রাজধানী তেহরানের আকাশসীমায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি করেছে। আইডিএফ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারা তেহরানের ওপর তাদের বিমান নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ করেছে এবং ইরানের এক-তৃতীয়াংশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করেছে। তিনি আরও জানান, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ৬৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের বেশিরভাগ মাঝপথে ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। তবে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে আটজন নিহত হয়েছেন।
আইডিএফ জানিয়েছে, ইরান পরিকল্পনা করেছিল ওই রাতে ছোড়ার জন্য দ্বিগুণ ক্ষেপণাস্ত্র, কিন্তু ইসরায়েলি বিমানবাহিনী আগেভাগেই ইরানের ভিতরে ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই হামলায় ইরানের ইস্পাহান শহরের শতাধিক সামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ৫০টি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন একযোগে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুদাম, নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে।
এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে আইডিএফ দাবি করেছে, তারা ১২০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করেছে, যা ইরানের মোট ক্ষেপণাস্ত্র লাঞ্চারের এক-তৃতীয়াংশের সমান। তবে এখনও ইরান থেকে এসব দাবির কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান এই উত্তেজনার পেছনে রাজনৈতিক ও সামরিক কারণে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ ক্রমশ বাড়ছে। ইসরায়েল বলছে, তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ইরানের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করতে কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ইরানের পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্ট কোনো বিবৃতি না আসা স্বত্বেও, এই সংঘাত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে।
এতে বিশ্বজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করছেন। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি তীব্রতর হচ্ছে এবং দুই পক্ষের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।