প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১২:২১
দীর্ঘ ঈদের ছুটি শেষে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে। আজ রবিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পূর্বের নিয়মে শুরু হয়েছে। ঈদুল আজহা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ১০ দিন ধরে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে এ সময়েও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্ট-ভিসাধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে ১০ দিনের ছুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আজ সকাল থেকেই বন্দরের সব কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে এবং এতে করে বন্দর এলাকায় আবারও কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ আবু তালেব জানান, বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু ছিল এবং বৈধ কাগজপত্র থাকা যাত্রীদের যাতায়াতে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। ফলে ঈদের ছুটির মধ্যেও দুই দেশের মানুষের যাতায়াত অব্যাহত ছিল।
হিলি বন্দরের পুনরায় চালুর ফলে ট্রাক, লোড-আনলোড শ্রমিক, কাস্টমস কর্মকর্তা ও আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও বাণিজ্যিক গতিশীলতা ফিরে আসায় ব্যবসায়ীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বন্দরের আশপাশের হোটেল, দোকান ও পরিবহন সেক্টরেও ব্যস্ততা ফিরে এসেছে।
উল্লেখ্য, হিলি স্থলবন্দর দেশের অন্যতম ব্যস্ততম বন্দরগুলোর একটি। প্রতিদিন এখানে ভারত থেকে পেঁয়াজ, চাল, গম, ফলমূল, মসলা, কেমিক্যালসহ নানা পণ্য আমদানি হয় এবং বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি, প্লাস্টিক সামগ্রী, পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা হয়।
ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, ঈদের ছুটির পর ফের স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চালু হওয়ায় আমদানি-রপ্তানি জোরদার হবে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেও তারা আশা করছেন।
Hashtags: #হিলিস্থলবন্দর #আমদানিরপ্তানি #দিনাজপুর #ঈদেরপরবাণিজ্য #ইনিউজ৭১ #enews71