প্রকাশ: ৯ জুন ২০২৫, ১৮:১৯
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এখনো পর্যাপ্ত সতর্কতা নেই। নতুন করে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও দিনাজপুরের এই গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত স্থলপথে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ভারত থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা উচিত হলেও বাস্তবে তা চোখে পড়ে না। পাসপোর্টধারীরা অনায়াসে দেশের মধ্যে চলাচল করছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে বলা হয়েছে, যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে এবং যদি কারও তাপমাত্রা বেশি পাওয়া যায় তবে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য সচেতনতায় প্রচারণা চালানো হবে। কিন্তু হিলি চেকপোস্টে গিয়ে দেখা গেছে, এসব কার্যক্রম কার্যকর হচ্ছে না। মেডিকেল টিমের কোনো উপস্থিতি নেই এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কোনো প্রচারণাও নেই।
হিলি চেকপোস্টে যাত্রী গোকুল চন্দ্র জানান, ভারতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন। সেখানে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় তিনি ভীত ছিলেন। চেকপোস্টে এসে কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিয়ম অনুসরণ জরুরি হলেও তা অনুপস্থিত।
সিরাজগঞ্জের মিরপুর এলাকার মোছা. আমিনা খাতুন বলেন, ভারতে করোনা পরিস্থিতির কারণে যাওয়া নিয়ে তার মাঝে ভয় রয়েছে। তবুও চিকিৎসার প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে। তিনি আল্লাহর উপর ভরসা রেখে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। অন্যদিকে ভারত থেকে ফিরে আসা ভগীরথ সরকার বলেন, বাংলাদেশে করোনার পুনরায় সংক্রমণ বাড়ায় দ্রুত দেশে ফিরছেন। চেকপোস্টে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, ভারতে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এ নিয়ে এখনও কর্তৃপক্ষ থেকে সরাসরি নির্দেশনা মেলেনি। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে মঙ্গলবার থেকে হিলি চেকপোস্টে মেডিকেল টিম স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করবে। তবে এখন পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি বলে তিনি জানান। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, যাতে সীমান্ত পেরিয়ে দেশে করোনার নতুন ঢেউ প্রবেশ রোধ করা যায়।