প্রকাশ: ৫ জুন ২০২৫, ১৯:৪৫
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পিরোজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত পুকুরটি নতুন করে সচল করতে শুরু হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী ও পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা এ পুকুরটি এলাকায় মশার উপদ্রব ও পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে উঠেছিল।
পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সচেতন নাগরিক সমাজ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো—‘পজেটিভ পিরোজপুর’ ও ‘বিডি ক্লিন’-এর সহায়তায় এই পুকুর পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে শহরের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেন।
স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচালিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় রাজনৈতিক পরিচয় বড় নয়, বরং নাগরিক দায়িত্ববোধই মুখ্য।
পুকুরটির বর্তমান অবস্থা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রবাসী পিরোজপুরবাসী তারিক রানা চৌধুরী। তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পর এটি আবার ব্যবহার উপযোগী হয়েছে। এতে করে পরিবেশ দূষণ ও মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একসময় এই পুকুর ছিল এলাকার সৌন্দর্যের অংশ। সেখানে গোসল ও অজুর ব্যবস্থাও ছিল। আজ তা পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। কচুরিপানায় ভরা এই পুকুরটিকে ঘিরে রয়েছে অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার ইতিহাস।
জেলা বিএনপির অন্য সদস্য আ: ছালাম বাতেন, মিজা জহীরুল হকসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও অতীতের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, আগে পুকুরটি ব্যবহার করতেন বাজারের মানুষজন। তারা আজকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন অবহেলা শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি। তারা জরুরি হস্তক্ষেপ ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানান।
এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নতুন করে দেখিয়ে দিল—জনসচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই সম্ভব পরিবেশ রক্ষা এবং জনসম্পদ পুনরুদ্ধার।