প্রকাশ: ৩ জুন ২০২৫, ১১:৪৩
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় কোরবানির পশুরহাটে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা ঘটেছে। কবিরহাট থেকে ছাগল নিয়ে আসা এক কৃষক হাটেই স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এই ঘটনায় হাটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহতের নাম জাকার উল্লাহ, বয়স ৫০ বছর। তিনি কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের আশরাদ মিয়াজি বাড়ির বাসিন্দা। পরিবারে কৃষিকাজই ছিল তার একমাত্র জীবিকা।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে বিজবাগ ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজারে কোরবানির পশুরহাটে ছাগল বিক্রি করতে যান তিনি। দুপুরের দিকে তিনি দুটি ছাগল নিয়ে হাটে আসেন এবং একটি ছাগল বিক্রিও করেন। তবে আরেকটি ছাগল বিক্রি করে টাকা নেওয়ার সময়ই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে জাকার উল্লাহ বুকে ব্যথা অনুভব করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশেপাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
এই আকস্মিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাটে এক ধরনের স্তব্ধতা নেমে আসে। অনেকেই হতবাক হয়ে পড়েন যে, জীবিকার তাগিদে হাটে এসে কেউ এমন মৃত্যুর শিকার হতে পারেন।
পরে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের পরিবার তাকে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়নি।
জাকার উল্লাহর পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। অতিরিক্ত গরম ও ভিড়ের মধ্যে চাপ নিতে না পেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
এই ঘটনাটি আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়, হাটবাজারের মতো জনবহুল স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে জীবন-জীবিকার লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও আমাদের সবার।