প্রকাশ: ২ জুন ২০২৫, ১৮:৩৮
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি বিশেষ বরাদ্দে প্রায় ১৩ হাজার ৭শত ৬৯টি দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে ভিজিএফ খাদ্যশস্য (চাল) বিতরণ শুরু হয়েছে। ঈদের আনন্দে নিম্ন আয়ের মানুষরা ভিজিএফ চাল পেয়ে খুশি এবং তারা এই সহায়তাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন।
সোমবার সকালে বোয়ালদাড় ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণের শুভ উদ্বোধন করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামের নানা বয়সের নারী-পুরুষ সকাল থেকেই পরিষদ চত্বরে জমায়েত হয়েছেন, যেখানে তারা উৎসবের আবহে বিনামূল্যে চাল পেতে অপেক্ষা করছেন। বোয়ালদাড় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ নাজিমুল হোসাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, এবারে তাদের ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার ৯শত পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে।
চাল বিতরণ কার্যক্রমের সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন তদারকি করছে উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম, থানা পুলিশ এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ। চাল গ্রহণের জন্য আসা তাসলিমা বেগম জানান, তার স্বামী দিনের আয়ের ওপর সংসার চালান, তাই এই বিনামূল্যের চাল তাদের পরিবারের জন্য ঈদ উপলক্ষে খুব বড় সহায়তা।
একই দিনে খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নে ৪ হাজার ১৬৯ পরিবারকে ভিজিএফ চাল দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। সেখানে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ মাসুদ রানা উপস্থিত থেকে তদারকি করেন। প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সদরুল ইসলাম স্বপন বলেন, তাদের ইউনিয়নে এই চাল বিতরণের মাধ্যমে গরীব ও দুস্থরা ঈদের আনন্দে ভাগ নিতে পারবে।
আলিহাট ইউনিয়নেও প্রায় ৪ হাজার ৭শত পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ ইমরান আলী জানান, সরকারের বরাদ্দকৃত চাল সুষ্ঠুভাবে বিতরণে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, ঈদের আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে তাদের জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলো মিলেমিশে কাজ করছে। তিনি তিনটি ইউনিয়নে সরাসরি তদারকি করছেন এবং অনিয়ম বা দুর্নীতি রোধে থানা পুলিশের সহায়তাও নিশ্চিত করেছেন।
সরকারের এই উদ্যোগ অনেক দরিদ্র পরিবারের মুখে ঈদের আনন্দ ফিরিয়ে এনেছে, যা এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ঈদুল আজহার এই বিশেষ দিনে চাল পেয়ে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সরকারের প্রতি।
তথ্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজের দুর্বল শ্রেণির পাশে থাকার উদ্যোগটিকে স্থানীয়রা উষ্মে গ্রহণ করছেন, যা দেশের উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে গণ্য হচ্ছে।