রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে যানবাহন ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে তিনি ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট ও বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে সার্বিক প্রস্তুতি মূল্যায়ন করেন।
পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ঘাটে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের দিকনির্দেশনা দেন। তিনি মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে আসা বাসচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে অতিরিক্ত ভাড়া ও চাঁদাবাজির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। বেশ কয়েকজন যাত্রী এবারের ঈদযাত্রায় পুলিশের ভূমিকায় স্বস্তি প্রকাশ করেন।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলাচল পরিদর্শনে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে আসা লঞ্চ ও ফেরিগুলো যাত্রী ও যানবাহন নামিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছে। প্রতিটি লঞ্চে যাত্রী থাকলেও এখনো চাপ সৃষ্টি হয়নি বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের এজিএম মো. সালাহ উদ্দিন।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ১৭টি ফেরি ও ৩টি ঘাট সচল রাখা হয়েছে। পশুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হবে। পশুবাহী ট্রাকগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারবে।
পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, "দৌলতদিয়া ঘাট দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর। চুরি, ছিনতাই, জুয়া ও মাদক বিক্রি রোধে ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঈদের আগের তিন দিন ও পরের সাত দিন নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।"
তিনি আরও জানান, সন্ধ্যায় পশুবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকবে এবং প্রতিটি ট্রলারে গন্তব্যস্থানের নাম লিখতে হবে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হবে না। ঘাটে থানা পুলিশ, নৌপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সমন্বয়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু রাসেল, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ও নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা। পুলিশ সুপার আশ্বাস দেন, এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হবে।