প্রকাশ: ১ জুন ২০২৫, ১৬:৭
নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে গেলে মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনার শিকার হয় ৩৯ জন যাত্রী। শনিবার বিকেলে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ট্রলারটি ঝড়ো আবহাওয়া ও নদীর প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে নদীতে ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে ছিলেন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা নারী ও শিশু, এনজিওকর্মী এবং আনসারসহ ৩৯ জন যাত্রী। এদের মধ্যে ভাসানচর থানার সাব পোস্টমাস্টার গিয়াস উদ্দিন ও এক রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে রামগতি এলাকা থেকে রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।
এখনো নিখোঁজ রয়েছেন সুধারাম থানার পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম এবং তিন বছর বয়সী রোহিঙ্গা শিশু মো. তামিম। তাদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে ট্রলারটি আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যাত্রাপথে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার এগিয়ে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ার মুখোমুখি হয় ট্রলারটি। প্রবল ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে এটি উল্টে যায়।
হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৩৫ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। একজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও পরে তিনি মারা যান। আরও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর থেকে স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। নদী ও আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মধ্যেও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই দুর্ঘটনা এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন বৈরী আবহাওয়া জেনেও কীভাবে এতো যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি যাত্রা করলো। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।