প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১৯:২৮
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস আর উঁচু ঢেউয়ের তোড়ে ৩৯ জন যাত্রী বহনকারী একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে করিম বাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রলারে ছিলেন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য এবং বিভিন্ন এনজিওর কর্মীসহ মোট ৩৯ জন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজমল হুদা নিশ্চিত করেছেন, দুর্ঘটনায় ৩০ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আর আট জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযানে কোস্টগার্ড সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ট্রলারটি দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার যাওয়ার পর করিম বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস ও তীব্র ঢেউয়ের কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনাস্থলে থাকা মানুষ এবং উদ্ধারকারী বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আট জনের খোঁজে উদ্ধারকাজ চলমান আছে। ওই যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। তারা দুর্ঘটনাটির সঠিক কারণ জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদীর এ অংশটি ঝড়ো আবহাওয়ায় খুবই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বর্ষাকালে নদীর ঢেউ ও বাতাস অতিরিক্ত প্রবল হয়, যা ছোট ছোট নৌযান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরো উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই তাদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালীতে এই ধরনের নৌ দুর্ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটে থাকে। তাই সড়ক ও নৌপথে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের তৎপরতা আরও জরুরি হয়ে পড়েছে।