প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১৮:৪৬
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঠেঙ্গারবান্দ এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানার পৈতৃক বাড়িতে সংঘটিত হয়েছে এক দুঃসাহসিক ডাকাতি। শনিবার দিবাগত রাতে প্রায় এক ডজন মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত বাড়িটিতে হানা দিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। রাত ৩টা থেকে সকাল ৪টা ৩০ মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ডাকাতরা বাড়ির প্রবেশদ্বার ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং আবিদা সুলতানার পিতা মোহাম্মদ নাজমুল আলমকে হাত-পা বেঁধে রেখে পুরো বাড়ি তছনছ করে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আমরা এই ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি এবং অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বলছেন, একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতেই যদি এমন ডাকাতি ঘটে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এলাকার মানুষের দাবি, স্থানীয় প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে এবং পুলিশের টহল জোরদার করতে হবে।
ডাকাতরা সিসি ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টা করলেও কিছু ফুটেজ রয়ে গেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ডাকাতদের শনাক্তে তৎপর রয়েছে। এ ছাড়া আশপাশের এলাকায় সন্দেহভাজনদের বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এখন চরম আতঙ্কে রয়েছেন। তারা পুলিশের কাছে দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। আবিদা সুলতানার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডাকাতির সময় তারা চরম মানসিক চাপে ছিলেন এবং এখনো সেই ভয়ের রেশ কাটেনি।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর প্রশাসনের ভাবমূর্তিও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তার নিজ বাড়িতে ঘটে যাওয়া ডাকাতির ঘটনা নিঃসন্দেহে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতাকেই সামনে নিয়ে এসেছে। এখন দেখার বিষয়, কত দ্রুত পুলিশ এই মামলার রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়।