রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন জানান, পদ্মা নদীতে উত্তাল ঢেউ ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে পারে।
এর আগে একই দিন সকাল ৯টা থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বিঘ্নিত হচ্ছে।
ঘাটে উপস্থিত যাত্রীরা জানান, লঞ্চ ও ফেরি উভয়ই বন্ধ থাকায় তারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অনেক যাত্রী ঘাটেই আটকে রয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। কিছু যাত্রী বিকল্প পথে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সেটিও সহজ নয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, 'আমি ঢাকায় জরুরি কাজে যেতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু লঞ্চ ও ফেরি বন্ধ থাকায় এখন ঘাটেই আটকে আছি। কবে যোগাযোগ চালু হবে তাও জানি না।'
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীতে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া উন্নতির পরই কেবল ফেরি চলাচল চালু করা হবে।
ঘাট কর্মকর্তারা জানান, নৌরুটে প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫টি ফেরি চলাচল করে। এছাড়া প্রায় ২০টি লঞ্চ এ পথে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরাও পণ্য পরিবহনে সমস্যায় পড়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদী অববাহিকায় বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে নৌযান চলাচলে আরও বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যাত্রীদের ধৈর্য্য ধারণ করে অপেক্ষা করতে এবং আবহাওয়া উন্নতির জন্য প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। নৌপরিবহন চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।