প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১৬:৪
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নোয়াখালী জেলায় বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া চলছে, যা ইতিমধ্যে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ চলাচল বন্ধের কারণ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে এবং স্থানীয় প্রশাসন সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে হাতিয়ার নৌপথে ভ্রমণ অবরুদ্ধ রয়েছে এবং আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যাতায়াত এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হাতিয়ার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ও নিঝুমদ্বীপে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। চরইশ্বর, নলচিরা, ঢালচর, সুখচর, চরঘাসিয়া সহ বিভিন্ন চরের সড়ক ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বাড়ি-ঘর ও সড়কে পানি ঢুকে প্রাণযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। নিঝুমদ্বীপের নিচু এলাকা এবং আশপাশের বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ার পানি সহজে প্রবেশ করে প্লাবিত করছে, ফলে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
নিঝুমদ্বীপের বাসিন্দা বাবলু বলেন, ভোররাত থেকে লঘুচাপের প্রভাবে হাতিয়ায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে এবং ঝড়ো বাতাসে সাগর উত্তাল। এই কারণে হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, জোয়ার পানিতে ইউনিয়নের প্রধান সড়কগুলো প্লাবিত হয়েছে এবং নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকছে, যা দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে নিন্মচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া আরও অবনতি হতে পারে, যার ফলে ভূমিধস ও জলাবদ্ধতার আশঙ্কাও রয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, সাগর উত্তাল এবং ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি স্থানীয়দের নিরাপদ থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছেন।
নোয়াখালীতে এই আবহাওয়া পরিস্থিতি জনজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতায় দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। ভ্রমণ ও নৌপরিবহন ব্যবস্থায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসা পর্যন্ত জনগণের নিরাপত্তা ও সচেতনতা বজায় রাখা জরুরি।