প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১৫:৫৮
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় আজ বিশেষ অনুষ্ঠান চলে, যেখানে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৫ উদ্বোধনের জোরালো আয়োজন করা হয়েছে। ‘শিশু থেকে প্রবীণ, পুষ্টিকর খাবার সর্বজনীন’ এই মূল স্বচ্ছলতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে প্রচেষ্টা নিবেদন করা হয়েছে।
আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বুধবার (২৮ মে) সকাল ১১টায় বর্ণাঢ্য র্যালির শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়। র্যালি শেষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হল রুমে অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা সভায় ঐক্যের বার্তা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিচালিত হওয়ায় সবাই সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথির উপস্থাপনায় আলোচনা সভার সূচনা করেন জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. বিশ্বজিৎ দেব, যিনি অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্য তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মো. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শারমীন আক্তার, ডেন্টাল সার্জন ডা. মোঃ জোবায়ের খান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস শহিদ ও নার্সিং সুপারভাইজার রীতা রানী দাস।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য অভিজ্ঞ সদস্যদেরও মতামত গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্ডার গার্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিশিকান্ত দেব এবং শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ এহসান বিন মুজাহির উপস্থিত থেকে জনসাধারণকে পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করেন। আলোচনায় হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী মোঃ নুর আলম, ক্যশিয়ার মোঃ জাবেদুর রহমান, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আছমা আক্তার এবং নার্সিং সুপারভাইজার বশিরুন নেছার মতামত শোনা যায়।
বক্তারা পুষ্টিমানে সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ, খাদ্য উৎপাদন, পরিবহন, সংরক্ষণ ও রান্নার সময় পুষ্টিমান ও নিরাপত্তার মান বজায় রাখার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তারা জানান যে, পরিবারের সদস্যদের সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে খাবারের প্রতি নজর রাখা অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়, খাবারে চিনি ও লবণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, অতিরিক্ত ভাজা ও তৈলাক্ত খাবারের থেকে বিরত থাকা এবং ফাস্টফুডের ব্যবহার কমানোর বার্তা। শিশুদেরকে অতিপ্রক্রিয়াজাত পানীয় ও খাবার থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করা হয় এবং দৈনিক ১টি করে ডিম, দুধ বা আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করা হয়।
সবারই স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলতে, পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার ব্যাপারেও বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এমনকি প্রতিদিন অন্তত এক বারের জন্য ডিম বা আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়, যা শারীরিক বিকাশে সহায়ক।
জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম আগামী ৩ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও খাদ্যাভ্যাসের উন্নয়ন নিশ্চিত করার বার্তা সফলভাবে পৌছে দেওয়া হয়েছে।