প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ১৮:৩৫
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করেছে। শনিবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে থাকা হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুমেল সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ কার্যক্রমের সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। ৫ আগস্টের পরে থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাতের দিকে তিনি একটি ফ্লাইটে চুপিসারে দেশ ত্যাগের চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটকে দেয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক ঘটনার পর থেকে রুমেল পলাতক ছিলেন। রাতের এ সময়ে তিনি বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। আটকের খবর পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে, যার তদন্ত চলছে।
রুমেল কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তার রাজনৈতিক প্রভাব অনেকাংশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। তার এ গ্রেপ্তারে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ বলেছে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সবাইকে শান্তি বজায় রাখতে হবে।
এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জের রাজনৈতিক মহল থেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে এবং যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি কেউ কেউ মনে করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
বিমানবন্দরে আটক হওয়ার পর রুমেলকে দ্রুত কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং মামলার পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার গ্রেপ্তারের পর স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন আরও কড়া নজরদারি শুরু করেছে।
এ ঘটনার মাধ্যমে কোম্পানীগঞ্জ ও নোয়াখালীর রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত অপরাধীদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।