সিরাজগঞ্জ জেলায় এখন পুরোদমে চলছে ইরি-বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। প্রচণ্ড রোদ আর অসহনীয় তাপপ্রবাহের মধ্যেও থেমে নেই কৃষকের ব্যস্ততা। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে—ধান কাটা, ঝাড়াই, মাড়াই সবই চলছে জোরকদমে।
বিশেষ করে তাড়াশ উপজেলার চলনবিল এলাকায় এবার ইরি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। চলনবিল নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বর্ষার আশঙ্কায় সাধারণত আগে ভাগেই সেখানে রোপণ করা হয়। ফলে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকেই শুরু হয় ধান কাটা, যা চলে বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
তবে জেলার comparatively উচ্চভূমির অংশ যেমন: উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর ও কামারখন্দে একটু দেরিতে চাষাবাদ হওয়ায়, এখনো অনেক জায়গায় চলছে ফসল ঘরে তোলার প্রক্রিয়া।
চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করছে কৃষকরা। কিন্তু সব এলাকাতেই দৃশ্যপট এক নয়। কিছু কিছু অঞ্চলে কারেন্ট পোকা (এক ধরনের ছত্রাক) এবং ধান গাছের গোড়াপঁচা রোগের আক্রমণে ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব অঞ্চলের কৃষকরা জানান, সরকারি পর্যায় থেকে যথাযথ সহায়তা ও পরামর্শ তারা পাননি।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে পরিস্থিতি দেখেননি। তারা বলছেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক কৃষক স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে বালাইনাশক প্রয়োগ করেছেন, তবে তা যথেষ্ট ছিল না।
তবে এসব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কৃষকেরা হাল ছাড়েননি। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় আশাবাদী তারা।
সব মিলিয়ে সিরাজগঞ্জে ইরি-বোরো ধানের মৌসুমটি এবার কৃষকদের জন্য আশাজনক হতে পারে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।