আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, জনদুর্ভোগ

সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কয়েকদিন আগেই আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে উঠেছিল। বর্তমানে তা কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবুও নদী তীরবর্তী অনেক গ্রাম পানির নিচে ডুবে গেছে।

আত্রাই উপজেলার পতিসর-সমসপাড়া সড়কের তিন কিলোমিটার পানিতে ডুবে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মাঝগ্রাম, হেঙ্গলকান্দি, জগন্নাতপুর, পৈসাওতাসহ বহু গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। নদীর স্লুইচগেট, ব্রিজ ও কালভার্ট দিয়ে দ্রুত পানি প্রবাহিত হচ্ছে, ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। পালশা গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম জানান, ৯৫ বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছিলেন, সবই পানিতে ডুবে গিয়ে প্রায় ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। হেঙ্গলকান্দির কৃষক রুবেল চৌধুরী বলেন, ২২ বিঘার ধান একদিনেই পানির নিচে চলে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ কুমার জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বিঘা জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানিয়েছেন, বাঁধের অন্তত ৮/১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তার আশা, বৃষ্টিপাত না হলে কয়েক দিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পাহারার দল গঠন করা হয়েছে। প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড মিলে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।