‘ইউএনও’র অনুমতিপত্র জালিয়াতি নামে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ,অপপ্রচারের অভিযোগ

গত ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত ‘ইউএনও’র অনুমতিপত্র জালিয়াতি করে মিয়ানমারে নির্মাণ সামগ্রী পাচার’ শীর্ষক সংবাদের একটি অংশে নিজেদের নাম জড়ানোয় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা মো. আলম ও মো. জাহাঙ্গীর। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, উক্ত সংবাদে তাদের জড়িয়ে যেভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা পুরোপুরি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক।

দুই প্রতিবাদকারীর দাবি, যেই সার্ভিস বোটটি নিয়ে পাচারের অভিযোগ উঠেছে, সেটি তারা ২৮ এপ্রিল নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বিক্রি করে হস্তান্তর করেছেন। সেলিনা আক্তার নামের এক ব্যক্তির কাছে বোটটি হস্তান্তরের পর থেকে ওই যানটির সাথে তাদের আর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তারা আরও বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য সাংবাদিকদের ভুল ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করছে। এই মহলটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে ব্যক্তি বিশেষকে হয়রানি করতে চায়।

এছাড়াও তারা জোর দিয়ে বলেন, তারা কোনো পাচার সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত নন এবং এ বিষয়ে কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডেও জড়িত ছিলেন না। বরং প্রকৃত পাচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবিই তারা তুলেছেন।

তারা এও জানান, ইউএনও’র অনুমতিপত্র জালিয়াতির বিষয়টি গভীর তদন্ত সাপেক্ষ হওয়া উচিত এবং কারা প্রকৃত অপরাধী, তা নিরপেক্ষভাবে খুঁজে বের করা দরকার।

মো. আলম ও মো. জাহাঙ্গীরের ভাষ্য অনুযায়ী, সংবাদে তাদের নাম আসার ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।

তাই সংবাদে নিজেদের নাম আসায় তারা সংশ্লিষ্ট মিডিয়া ও সাংবাদিকদের প্রতি সঠিক তথ্য যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

তারা জানান, তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও সংশোধন চাওয়াটাই ন্যায্য এবং নৈতিক দাবি বলে তারা মনে করেন।