ঝালকাঠির রাজাপুরে সরকারি জমি দখলের অপচেষ্টা নার্ভাস ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্রেসক্লাবের সামনে ‘তৌহিদী জনতা’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সচেতন নাগরিক অংশগ্রহণ করেন এবং ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে অন্যায় কাজ চালু রাখার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রথমেই বক্তব্য রাখেন রাজাপুর থানা মসজিদের সাবেক ইমাম ও খতিব আমিনুল ইসলাম নেছারী, যিনি বলেন, “অবৈধ দখলচেষ্টা বন্ধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকারি জমি জনগণের, কাউকে দখল করার অধিকার নেই।” তার ভাষায়, ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, তাহলে তা সাম্প্রদায়িক তেন্ত্রবাদেরও হাতিয়ার হতে পারে।
রাজাপুর সরকারি (সাবেক ডিগ্রি) কলেজের জিএস জুয়েল তালুকদার বলেন, “এলাকায় পর্যাপ্ত ধর্মীয় উপাসনালয় থাকায় নতুন জমি দখলের কোনো যৌক্তিকতা নেই। শুধু স্থানীয় সম্প্রীতিই নয়, এরাই দখল করতে নামল অর্থনৈতিক হিসেবেই।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করে অনৈতিক চেষ্টাটি থামাবে।
দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের চিফ রিপোর্টার তানিম আহমেদ মানববন্ধনে সচেতন সাংবাদিকতার গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন। তিনি জানান, গণমাধ্যমের নজর করলে দখলকারীদের কোনও জায়গায় লুকিয়ে থাকা সম্ভব হবে না। সমাজকে সত্যি জানাতে তাঁরা অবিরাম শোরগোল করবেন।
জন্মগত যুবদল নেতা জুবায়ের রাসেল বলেন, “রাজাপুর বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর হিসেবে পরিচিত। এখানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।” তিনি যে কোনো ধরনের ঘাতক ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা আকস্মিক ক্ষমা প্রার্থনা বা নাটকীয় ধর্মপ্রচার নয়, বরং আইনগত ও সামাজিক প্রতিবাদের মাধ্যমে দখলকারীদের আইনের আওতায় আনার ওপর গুরুত্ব দেন। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে বলেন, “সরকারি সম্পদ রক্ষা করা দেশের উন্নয়ন ও স্থানীয় অধিকার রক্ষার অংশ।”
শেষে সকল বক্তা সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং দখলবাজদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। আন্দোলনকারীরা আশা প্রকাশ করেন, জেলা প্রশাসন দ্রুত তদন্ত করে দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং রাজাপুরে সম্প্রীতি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।