বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ বাইশারী গ্রামে এক বছরের শিশুর গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে সংঘটিত দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে এবং আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে। ডাকাত দলের সদস্যরা দক্ষিণ বাইশারী গ্রামের দফাদার বাড়িতে হানা দিয়ে জানালার গ্রিল কেটে ও দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান বাবুলকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলেন এবং তাকে মারধর করেন।
পরে ডাকাতরা পাশের কক্ষে থাকা বাবুলের পুত্রবধূ নুসরাত ও তার এক বছরের মেয়ে সামিয়ার গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা ঘরের স্টীলের আলমিরা, ওয়ারড্রপ, শোকেস ও ট্র্যাঙ্ক ভেঙে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা, ২০-২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং দুটি মোবাইলসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে।
ডাকাতদলের সদস্যদের কেউ কেউ মুখোশ পরে থাকলেও মামলার বাদী বাবুল দুইজনকে চিনতে পেরেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের একজন হলেন গরদ্বার গ্রামের সাবেক সৌদি প্রবাসী মো. শহিদুল ইসলাম মানিক এবং অন্যজন দত্তপাড়া গ্রামের কালু।
মঙ্গলবার সকালে বানারীপাড়া পৌর শহরের বন্দর বাজার এলাকা থেকে পুলিশ শহিদুল ইসলাম মানিককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সকালে বরিশাল আদালতে পাঠানো হয়।
মামলায় মানিক ও কালুর নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৫-৭ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামী করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক চন্দন কুমার রায় জানান, ডাকাতির মূল রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে এবং শহিদুল ইসলাম মানিককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিশুর গলায় অস্ত্র ধরে ডাকাতি করায় মানবিকভাবে সবাই হতবাক হয়ে পড়েছেন। অনেকেই দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।