আওয়ামী লীগের বিচার, রাজনৈতিক সংস্কার এবং খুনি হাসিনার দোসরদের শাস্তির দাবিতে উত্তরা থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। বুধবার বিকেলে উত্তরায় আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এসব দাবির পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিচার এবং তার সহযোগীদেরও বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সমাবেশে সারজিস আলম বলেন, যারা শেখ হাসিনাকে খুনি হাসিনা হতে সাহায্য করেছে, তাদের বিচার ছাড়া দেশে প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। যারা জাতির সঙ্গে বেঈমানি করেছে, আজ তারা ফিরে আসতে চাইছে, নিজেদের দোষ ঢাকতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগণ তা ভুলে যায়নি এবং ভুলে যাবে না।
তিনি দাবি করেন, খুনি শব্দ মুছে ফেলার যে অপচেষ্টা চলছে, তা আসলে গণহত্যার ইতিহাস মুছে ফেলার সমান। যাদের কারণে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা নয়, বরং তার দোসররাও এ বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে।
আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এই দলটি আজও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। যারা রক্ত দিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করেছিল, তাদের আত্মত্যাগ যেন ব্যর্থ না হয় সে লক্ষ্যে সবাইকে সংগঠিত হতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, যেসব গোষ্ঠী এই দেশে গণহত্যা চালিয়েছে, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে গণঅভ্যুত্থানে জড়িত সবাই রাস্তায় নামবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে এই লড়াই থেকে একচুলও সরে আসা যাবে না।
তিনি বলেন, যারা শহীদদের আত্মত্যাগকে অবজ্ঞা করে শুধু ক্ষমতা নিয়ে ভাবছে, তারা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের শত্রু। এখন সময় এসেছে সংস্কার ও প্রতিশোধের। শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতেই হবে।
সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা উত্তরা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দেশজুড়ে এনসিপি নেতাদের পক্ষ থেকে একই দাবিতে আরও কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।