জামালপুরে রফিকুল ইসলাম গাদু হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ মো. আবু বকর সিদ্দিক এ রায় ঘোষণা করেন।
১৯৯৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর সদরের হাসিল গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম গাদু বাড়ির পাশের পুকুর পাহারা দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে স্ত্রী লাইলী বেগম পুকুর পাড়ের ছাপরা ঘরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন দেখতে পান। সেখানে একটি গামছা পাওয়া যায়, যা পরে লেবু মিয়ার বলে শনাক্ত হয়।
ঘটনার পাঁচ দিন পর ২৮ ডিসেম্বর প্রতিবেশীর একটি টয়লেটের ট্যাংকি থেকে গাদুর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের গলায় প্যাঁচানো মাফলারটি মজনু মিয়ার বলে শনাক্ত হয়। লাইলী বেগম থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্তে ২০০০ সালের ৬ জুন লেবু মিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
আদালত লেবু মিয়া ও মজনু মিয়াকে হত্যা ও অপহরণে জড়িত থাকার দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া মরদেহ গুমের ঘটনায় তাদের সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। বাকি ১০ আসামিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ. কে. এম. নাজমুল হুদা জানান, ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে এ রায় দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দীর্ঘ ২৬ বছর পর এই রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। নিহতের পরিবার ন্যায়বিচার পেয়ে কিছুটা স্বস্তি বোধ করছেন বলে জানা গেছে।