নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের বাচারীগ্রামে পুকুর দখল নিয়ে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, পুকুর দখল করে তার পাড় খনন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যদিও প্রশাসন এই খনন কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে, তবুও খনন অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনাটি শুরু হয়েছিল ৫ই আগস্টের পর, যখন গোলাম সারোয়ার তুহিন ও তার ছেলে গোলাম সিফাত পুকুর দখলের চেষ্টা করেন। তারা পুকুরে মাছ ধরার পাশাপাশি পোনা মাছ ছেড়ে পুকুরটি দখল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুকুরের প্রকৃত মালিক আসলামুজ্জামান পলাশ ও তার পরিবারের সদস্যরা এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুকুরের পাড় খনন করার মাধ্যমে পুকুরটির আয়তন বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পলাশ ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হলে গোলাম সারোয়ার তুহিন ও তার ছেলে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ চালায়। ফলে, প্রাণের ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর পলাশ থানা পুলিশ এবং এসিল্যান্ডের কাছে অভিযোগ করেন, কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও খনন কাজ চলতে থাকে। পলাশ ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, প্রশাসন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
পলাশ বলেন, "আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এখানে বসবাস করছি। আমাদের কাগজপত্রও সঠিক, কিন্তু তারপরও তারা আমাদের সম্পত্তি জোর করে দখল করার চেষ্টা করছে।" তিনি আরও জানান, প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না।
অভিযুক্ত গোলাম সারোয়ার তুহিন দাবি করেন, "এই পুকুর আমার বাপ-দাদার পুকুর, ৯০ সাল থেকে আমরা এটি ব্যবহার করছি। আমরা পুকুরটি সংস্কার করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা বাধা দিয়েছে।" তিনি বলেন, পুকুরের কাগজপত্র তাদের নামে রয়েছে এবং আরএস খতিয়ান সংশোধন করতে আদালতে মামলা চলছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, পুকুর পাড় খনন করার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে। যদি ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করা হয়, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। তারা মনে করেন, প্রশাসন যদি তৎপর না থাকে, তাহলে এমন অব্যাহত দখল ও খনন কাজ পরিবেশের জন্য হুমকি হতে পারে।