প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০:৫৩
২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব ছাত্র-জনতার অগ্নিস্ফুলিঙ্গে প্রজ্বলিত গণঅভ্যুত্থানের ফল। প্রায় দুই হাজার শহীদের আত্মত্যাগ এবং ১৮ হাজারের বেশি আহত মানুষের মূল্যবান ত্যাগের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলে একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। তবে চার মাসের মধ্যেই, সেই স্বপ্ন ধূসর হতে চলেছে।
বর্তমান ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি এবং অসৎ কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের মাধ্যমে জাতির অর্জন আজ প্রশ্নবিদ্ধ। রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামের নিয়োগ এর সাম্প্রতিক উদাহরণ। অতীতে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ডিএসএল সোয়াটারকে বেআইনি ঋণ সুবিধা প্রদান, রমনা কর্পোরেট শাখায় বিতর্কিত কার্যক্রম পরিচালনা, এবং বিদেশে অর্থ পাচারের মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগে তিনি আলোচিত।
অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তার দায়িত্বকালে দেওয়া বেশিরভাগ ঋণ খেলাপি এবং আদায়যোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনকালে এস আলম গ্রুপের ভৌতিক প্রতিষ্ঠানে দেওয়া ঋণ এবং পেনশনপ্রাপ্ত কর্মচারীদের প্রতি অমানবিক আচরণও তার অপসন্দনীয় কর্মকাণ্ডের উদাহরণ।
নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ এবং গণঅভ্যুত্থানের চেতনা নিয়ে যে আশা তৈরি হয়েছিল, তা কি আজ বিলীন হতে বসেছে? ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীদের পুনর্বহাল করে ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
দেশকে এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে হলে, দুর্নীতিবাজ এবং সুযোগসন্ধানী কর্মকর্তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। এভাবে চলতে থাকলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কী উত্তর দেব আমরা? যারা নিজেদের জীবন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন, তাদের আত্মত্যাগের মর্যাদা কোথায়?