প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১:১১
পাঁচবিবি উপজেলার বড়মানিক এলাকায় স্বামী হত্যা মামলা করার পর শাশুড়ী ও পুত্রবধূর মধ্যে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। স্বামী হত্যার বিচার ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুত্রবধূ মিম্মা আক্তার। শনিবার দুপুরে নিজের বাড়িতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার স্বামীর হত্যার বিচার এবং শাশুড়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন।
মিম্মা আক্তার বলেন, ২০২০ সালে তিনি উপজেলার আয়মারসুলপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের তফিজ উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেনের সাথে বিয়ে করেন। বিয়ের পর এক সন্তান নিয়ে সুখে সংসার চলছিল। কিন্তু ২০২২ সালে, তার স্বামীর বন্ধু নসিবের সাথে সম্পর্কের কারণে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। নসিব ৫ লাখ টাকা ধার নিলে, টাকার জন্য বিভিন্নভাবে তার স্বামীর সাথে ঝগড়া-বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
মিম্মা আরও জানান, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর নসিব তার স্বামীকে সুকৌশলে ডেকে নিয়ে জামালপুর মাদ্রাসার কাছে মাবুদসহ ৪-৫ সহযোগীর সাহায্যে মারধর করে। মারধরের পর তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ায় নেয়ার পথে তার স্বামী মারা যান। তিনি তখন হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২২৩-পি/২৪)। তবে মামলার পর থেকেই নসিব ও তার সহযোগীরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে।
মিম্মা আক্তার অভিযোগ করেন, হত্যার মামলার পর নসিব ও তার দলবল শাশুড়ী মেরিনাকে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন। তারা শাশুড়ীকে ৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার লোভ দেখালে, মেরিনা বাদী হয়ে মিম্মা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মিম্মা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন এবং তার স্বামীর হত্যার ন্যায়বিচার চান।
এদিকে, মেরিনা তার বক্তব্যে বলেন, "আমি পড়ালেখা জানি না, অন্যের বাড়িতে কাজ করি। নসিব আমাকে ডেকে এনে একটি কাগজে সই করতে বলেছিল, আমি সই করেছি।"
মিম্মা আক্তার তার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার এবং মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। তিনি জানান, এই পরিস্থিতিতে তিনি অসহায়, তাই সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
**মোস্তাকিন হোসেন**
পাঁচবিবি, জয়পুরহাট