
প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১:১৬

দেবীদ্বারে ১৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৩ টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া ৫৬ জন সহকারি শিক্ষকের পদসহ ১০৯ শিক্ষকের পদ শূণ্য থাকায় বিদ্যালয়ের পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক শূন্যতায় এসব বিদ্যালয়গুলো অনেকটাই অভিভাবকশূন্য এবং সহকারি শিক্ষকের ঘাটতি থাকায় শ্রেণী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানেও ব্যহত হচ্ছে। দ্রুত এ সমস্যা নিরসন প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষক- অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তবে ১৮৫টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ৫৩টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ১হাজার ২১১জন সহকারি শিক্ষকের মধ্যে ৫৬জন সহকারি শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। এসকল বিদ্যালয়ের শিক্ষক শূণ্য পদগুলো ঝুলে আছে ১ থেকে ৫ বছর ধরে। যার সৃষ্টি হয়েছে মৃত্যু, অসুস্থ্য, অব্যাহতি এবং বদলীজনিত কারনে।
জানা গেছে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে ভারপাপ্ত হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র শিক্ষকরা। এতে স্কুল পরিচালনা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পালন শেষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা, ফলে ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে।
দেবীদ্বার পৌরসভার ১৪০ নং বিজুলীপান্জার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ৭ মার্চ ২০২৩ সালে এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হলে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার সহকারি শিক্ষক পদ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়াতে স্কুলের কার্যক্রমে চাপ বেড়েছে।

৮৬ নং রাজামেহার পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহিন সুলতানা জানান, ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরুন নাহার শারীরিক অসুস্থ হলে তার দ্বায়িত্বটা তিনি গ্রহন করেন, এতে তার সহকারি শিক্ষক থেকে সরে আসাতে ছাত্র-ছাত্রীর পাঠদান ব্যাহাত হচ্ছে, এছাড়াও স্কুলের অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় ভোগতে হচ্ছে বাকী শিক্ষকদের।
মোহনপুর ইউনিয়নের ১১২ নং উত্তর মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী ২০১৯ সালে অসুস্থ হয়ে অবসরে গেলে এ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন রোমানা আক্তার। ৫ বছর ধরে তিনি এ স্কুলের একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন, এতে স্কুলের পাঠদানে যেমন সমস্যা হচ্ছে তেমনি কাজের চাপও সামলাতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন জানান, যে সকল বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক নেই তার তালিকা প্রাথমিক গণশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে এবং শিক্ষক পদোন্নতির নিয়োগের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.সফিউল আলম বলেন, পদোন্নতির মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়ে থাকে। জেলার কয়েকটি উপজেলার নথি মন্ত্রণালয়ে জমা আছে, সেখান থেকে অনুমোদন হলে এ সমস্যা কেটে যাবে।