প্রকাশ: ১ মার্চ ২০২২, ২৩:৩৮
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারে ওয়াপদার জায়গা ও সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় একের পর এক সরকারী জমি দখল করে আসলেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই বলে দাবী এলাকাবাসীর।
এদিকে প্রশাসনের সঠিক নজরদারী না থাকার ফলে সরকারী জমি গুলো দখল হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। যার ফলেই তারা এসব অবৈধ কাজ করে পার পেয়েই যাচ্ছেন এবং সরকার অনেক টাকার রাজস্ব হারাচ্ছেন।
এমনকি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রশাসনের কতিপয় লোকজনকে ম্যানেজ করে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বুধহাটা বাজারে সরকারী জায়গায় দখল করে সহজেই গড়ে তুলছে স্থায়ী স্থাপনা।আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারে রয়েছে কিছু পেরিফেরি ভুক্ত জায়গা, কিছু পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ভরাটে জায়গা, আর কিছু মালিকানা বা ব্যাক্তিগত জায়গা।
গত কয়েক মাস ধরে বাজারটিতে একের পর এক অবৈধ দোকান ঘর সংস্কারের নামে নির্মাণ করা হয়েছে বা হচ্ছে। আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকবার কাজ বন্ধ করে দেয়া হলেও পুনরায় আবারো কাজ করতে দেখা গেছে। এমনকি প্রশাসনের পক্ষথেকে পুলিশ পাঠিয়েও তাদের প্রতিরোধ করা যায়নি ।
সম্প্রতিএকদল সাংবাদিক সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পান, নয়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ঢালী, বুধহাটা বাজারের নদীর পাশে গ্রেডবিম দিয়ে তিনটা ঘর নির্মাণ করছেন। বহুতল ভবনের ফাউন্ডেশন করেছেন তিনি। তাৎক্ষণিক মোবাইলে কথা হয় বুধহাটা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোকারম হোসেনের সাথে।
তিনি বলেন এই জায়গা তাদের না, এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা যেকারণে তারা সেখানে বাঁধা দেয়নি। একই সাথে বুধহাটা বাজারে সংস্কারের অনুমতি নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন নওয়াপাড়া গ্রাামের খলিলুর রহমান। বিষয়টি নিয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমানকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করে দেন। কিছু পরে খলিল আবারো অদৃশ্য শক্তির বলে কাজ শুরু করেন।এখানে মুখ্য ভ’মিকা পালন করছেন বুধহাটা ইউনিয়নের তহশীল অফিসের ভুমি উপসহকারি কর্মকর্তা মোকারম হোসেন। ইতি মধ্যে বুধহাটা বাজারে অট্টালিকা তৈরি হলেও তার ইশরায় সকল কিছু বৈধ হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক্সেন আবুল খায়ের বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি অতি দ্রুত সময়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।আশাশুনি নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,সরকারী নিয়মনিতীর বাইরে কাজ করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।সরকারি জায়গায় ঘর নির্মান করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।