দীর্ঘ কয়েক বছরে দখল নদীটি আজ ছোট্ট খালে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা অরুয়াই নদীর দুই তীরের অংশটুকু দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের পাবলিক ঘাটলাসহ সরকারি জায়গা, দখল শেষে এখন করছে নদী দখল। অরুয়াইল এলাকার হাজারো মানুষের প্রশ্ন এ দখলের শেষ কোথায়??
অরুয়াইল বাজার নদী দখল বিষয়ে অরুয়াইল ক্লাস্টার, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসিফ ইকবাল খোকন বলেন, এই নদী আমাদের প্রাণ ও আশীর্বাদস্বরূপ। অরুয়াইল সহ এ এলাকার মানুষের বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা। দখলদারদের কারণে প্রাণের তিতাস এখন অনেকটা মৃত।
আমরা চাই আমাদের নদী দখল মুক্ত রাখতে প্রশাসনের সহযোগিতা ও অরুয়াইলে দখল রাজত্বের অবসান।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার অরুয়াইল বাজারে মার্কেটর সংলগ্নে নদীর জায়গায় ভাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেছে।একজন প্রবাশালী দখল করে। বাজারে সপ্তাহে দুবার হাট বসে। ওই দু’দিন হাটে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। সরকারি ঘাটলা দখলের ফলে মালামাল উঠা নামা করতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় হাটে আসা হাজারো মানুষের ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন।
অরুয়াইল ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তালেব মিয়া বলেন, বাজারে দোকানের পাশে নদী দখলে করে বাউন্ডারি করে ড্রেজার লাগে বালু ভরাট করছে।এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, যেই হোক নদীর জায়গা দখল করা যাবে না। নদীর জায়গা উদ্ধার করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান, আওয়ামীলীগ নেতা আবু তালেব মিয়া।
অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন নদী দখলের কথা স্বীকার করে বলেন, সত্য কথা বলতে অরুয়াইল একটি নদী ঘেরা এলাকা এ এলাকায় প্রতিদিন দখল হচ্ছে নদী। সারা বাংলাদেশের নদী দখল কৃত জায়গা উদ্ধার হচ্ছে। আর অরুয়াইল বাজারে নদীর জায়গা দখল করে দেওয়াল দিয়ে বাউন্ডারি করে ড্রেজার লাগিয়ে বালু ভরাট করছে।
অরুয়াইলের চেয়ারম্যান হিসাবে প্রশাসনকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, নদী দখল বন্ধ করে, প্রশাসন থেকে যে লাল দাগ দিয়েছে ওইসব অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার করে অরুয়াইল বাজারকে দখলমুক্ত করবে এমন দাবী জানান বাজার কমিটির সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি অরুয়াইলে সরকারি জায়গার দখ লোত্ত বন্ধ করতে পারলে এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে।
অরুয়াইল দখলদারদের ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, নদী দখল করে যারা পাকা দেওয়াল নির্মাণ করছে, উচ্ছেদের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অবৈধভাবে সরকারি খাল-নদী দখলের অপতৎপরতার কারণে নদী যেমন দখল হয়ে সরু হয়ে গেছে।
অরুয়াইল বাজার স্থাপনা উচ্ছেদের লাল চিহ্ন দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন এ ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে এ ইনিউজ৭১ কে তিনি বলেন, অরুয়াইল বাজারের বিভিন্ন স্থাপনায় লাল চিহ্নিত দেওয়া সহ সকল সরকারি জায়গা উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করেছে, সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলবে।