প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২১, ২১:৪১
সারা দেশজুড়ে সুমিষ্ট রসালো ফল তরমুজে বাজার ভরে উঠেছে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে সড়ক ও নৌপথে তরমুজ যাচ্ছে সারা দেশের বাজারে।
কুমিল্লা দেবীদ্বারে (২৪এপ্রিল) শনিবার নিউমার্কেটের বিভিন্ন ফল দোকান গুলোতে ঘুরে দেখা যায় তরমুজের অধিক যোগান রয়েছে। ফল দোকানগুলো ছাড়াও অস্থায়ীভাবে বিক্রি করছে এই সুমিষ্ট ফল তরমুজ।
বর্তমান বাজারে তরমুজের দাম সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বাজারের সর্বনিম্ন ৪০০ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা ও তার অধিক দামে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজের অধিক দাম সম্পর্কে জানতে চেয়ে কথা হয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে। দেবীদ্বার নিউমার্কেটের ফলবিক্রেতা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত দুই মাস যাবত তরমুজ বিক্রি চলছে। বর্তমানে তরমুজ সিজনের শেষের দিকে। এবার অতিরিক্ত রুদ থাকার কারণে তরমুজের চাহিদা বেশি। রমজানে ইফতারে রসালো ফল হিসেবে মানুষ তরমুজকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
আরেকজন বিক্রেতা কামরুল হাসান জানান, সিজন শেষ পর্যায়ে। আমাদের ঘাটে কেনাতে বেশি দামে কিনতে হয়, তাই আমাদের বিক্রি করতে হয় একটু বেশি দামে। গত বুধবার রামচন্দ্রপুর ঘাট থেকে বেশী দামে তরমুজ কিনতে হয়েছে। আমরা কমে কিনতে পারলে কাস্টমারের কাছে কমে বিক্রি করতে পারতাম।
বাজারে দুই জাতের তরমুজ বেশি লক্ষণীয়। বরিশালের বাংলালিংক দামে অনেক বেশি কিন্তু নোয়াখালীর সাদা তরমুজ দামে সামান্য কম হলেও তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
বাজার ঘুরে কথা হল তরমুজ ক্রেতা হাজী আব্দুল মতিনের সাথে, তিনি বলেন পনের দিন আগে যে সাইজের তরমুজ ২৫০ টাকায় কিনেছি আজ একি সাইজের তরমুজ নিলাম ৬০০ টাকায় যা দামে অনেক বেশি। বর্তমান বাজারে এই তরমুজের দাম বড়জোর ৪০০ টাকা হলে মোটামুটি ঠিক ছিল।
কথা হল তরমুজ কিনতে আসা এক মহিলা ক্রেতার সাথে।তিনি বলেন, একটা তরমুজ কিনতে আইছিলাম। বেডায় এদ্দুরা একটা তরমুজের দাম কয় ৬০০ টেহা। ইনকাম নাই এত টেহা,খাইবো কেমনে। তা বলেই তিনি তরমুজ না কিনেই চলে যেতে দেখা যায়।
আরেক ক্রেতা হারুনুর রশিদ জানান, তরমুজের অতিরিক্ত দাম এবার বিগত রমজানের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
তরমুজের দোকানে অধিক ক্রেতারা ভিড় করলেও তরমুজের দাম শুনার পর অধিকাংশ ক্রেতাই না কিনে বাসায় চলে যান। কেননা এত দামে তরমুজ ক্রয় করে খাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান তরমুজ ক্রয় করতে আসা লোকজন।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১