প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২১, ১৪:২৫
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশালের ঝালকাঠির বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে অন্তত ৬টি রুটের যাত্রী সাধারণ। বাস শ্রমিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও মহাসড়কে মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী বলেন, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তারপরও বে-আইনিভাবে আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে পুরোদমে চলছে অবৈধ মাহিন্দ্রা, নছিমন, করিমন ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। ফলে প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে। আর এসবের প্রতিবাদ করলে মাহিন্দ্রার মালিক ও চালকরা বিভিন্ন সময় বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা করে। এছাড়া বাসের যন্ত্রাংশ চুরি করে নেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে ঝালকাঠি-বরিশাল, ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া, বরিশাল-খুলনা, বরিশাল-পিরোজপুর, বরিশাল-মঠবাড়িয়া, বরিশাল-পাথরঘাটাসহ ছয় রুটের যাত্রীরা পড়েন ভোগান্তিতে। দুর্ভোগের শিকার অনেকেই সময় মতো গন্তব্যে যেতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে ছুটছেন।
রুপাতলী বাস টার্মিনালে অপেক্ষারত গার্মেন্টস কর্মী সুরাইয়া বলেন, ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। লঞ্চ থেকে নেমে টার্মিনালে এসে জানতে পারেন বাস বন্ধ। এক পর্যায়ে ওই যাত্রীকে অটোরিক্সাযোগে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে দেখা যায়। এরকম অনেক যাত্রীই বিপদে পড়েছেন।
ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহমুদ বাচ্চু বলেন, রূপাতলির সুমন মোল্লা নামে এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে আমাদের বাস ভাঙচুর এবং শ্রমিকদের মারধর করা হয়। আমরা সুমন মোল্লার বিচার এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারসহ সকল সরকারি দায়িত্বশীলদের কাছে আবেদন করেছি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।