অমর একুশে বই মেলায় আসছে কৃষিবিদ ড.নুরুল হুদা মামুনের কৃষি জিজ্ঞাসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:০৮ অপরাহ্ন
অমর একুশে বই মেলায় আসছে কৃষিবিদ ড.নুরুল হুদা মামুনের কৃষি জিজ্ঞাসা

অমর একুশে বইমেলা ২০২০ কৃষিবিদ ড.নুরুল হুদা মামুন কৃষকদের নানা সমস্যা এবং কৃষির উপর নানা আলোচনা নিয়ে এবারের বইটি উপস্থাপন করেছেন।নুরুল হুদা মামুনের লেখা বইটি ৫ম তম। এই বইটি সাধারণ কৃষদের জন্য একট চমৎকার গ্রহন্থকার। এই বইটি সাধারণ কৃষকদের নানা সমস্যার সমাধানে কাজ করবে বলে লেখক আশাবাদী নিম্নে লেখকের লেখক পরিচিতি তুলে ধরা হলো।

লেখক পরিচিতি
কৃষিবিদ ড. মোঃ নূরুল হুদা আল মামুন। জন্ম ১৯৭২ সালের ৯ অক্টোবর। ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের বামনকাঠি গ্রামে। পিতা আলহাজ্ব আলী আহম্মদ তালুকদার আর মাতা নুরুন নাহার বেগমের তত্ত্বাবধানে বেড়ে ওঠা আর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ এ গ্রামেই। পরে ঝালকাঠী জেলার হেমায়েত উদ্দিন বিজ্ঞান শিক্ষায়তন থেকে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক পাশ করেন ১৯৮৭ সালে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন বরিশালের ঐতিহ্যবাহী সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ থেকে ১৯৮৯ সালে। এরপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে বিএসসি এজি ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে এমএস ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ২০১৮ সালে পিএসটিইউ থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

কৃষিবিদ ড. মোঃ নূরুল হুদা আল মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। এরপর ২০০১ সালের এপ্রিল মাস থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রনালয়ের অধীন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

লেখালেখি স্কুল জীবন থেকেই। ছড়া কবিতা দিয়ে সাহিত্য জগতে প্রবেশ করলেও পরে পপুলার আর্টিকেল, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ফিচার, সম্পাদকীয় সব অংগনে তাঁর রয়েছে দাপুটে বিচরণ।বাংলাদেশের বেশিরভাগ জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ম্যাগাজিনে তাঁর প্রবন্ধ, নিবন্ধ ছাপা হয়।তাঁর প্রকাশিত গবেষণাপত্রসহ সায়েন্টিফিক প্রবন্ধের সংখ্যা ২০ এর অধিক।তিনি দেশের অন্যতম মাসিক পত্রিকা কৃষিবার্তার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে ২০০১ সালে কৃষি সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি উক্ত পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

একটু দেরীতে হলেও তাঁর প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ “বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় কৃষি” প্রকাশ পায় ২০১৩ সালের একুশে বইমেলায়। এর পর তাঁর দ্বিতীয় প্রবন্ধগ্রন্থ “ভেষজ উদ্ভিদের চাষ” প্রকাশ পায় ২০১৪ সালের একুশে বই মেলাতেই। কবিতা নিয়ে আজন্ম লালিত ভালবাসা প্রকাশ পায় তার কাব্য চর্চায়। দাপ্তরিক কাজের ব্যস্ততার মাঝেও তিনি খুঁজে ফেরেন ছন্দময় অনবদ্য এক জগত। আর তা ব্যঙময় ও মূর্ত করে তোলে “সুখপাখি” কাব্যগ্রন্থে। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ পায় ২০১৫ সালের মহান একুশের বই মেলায়। ’ভোরের পাখি’ নামে একটি শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে।

সাহিত্যের স্বীকৃতি স্বরুপ অর্জন করেছেন-
মা মাটি মানুষ গ্রুপ সম্মাননা-২০১৫
বাংলাদেশ কবি পরিষদ সম্মাননা- ২০১৫
দুর্জয় বাংলা সাহিত্য সম্মাননা-২০১৫
অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ সম্মাননা- ২০১৫
মা মাটি মানুষ গ্রুপ সম্মাননা- ২০১৬
মিরপুর কৃষিবিদ ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি সম্মাননা- ২০১৭
মা মাটি মানুষ সাহিত্য গ্রুপ জাজ প্যানেল সম্মাননা-২০১৮

বিবাহিত জীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তিনি সকলের দোয়া প্রার্থী
কৃষি নির্ভর এ দেশে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। কিন্তু প্রতি বছর জলবায়ু পরিবর্তন সহ নানা কারণে এমনকি বিভিন্ন রোগ ও পোকা-মাকড় ফসলের ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া উষ্ণ, আর্দ্র কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় ও রোগ বালাইকে উৎসাহিত করে থাকে। আর এ ক্ষতি থেকে ফসলকে রক্ষার জন্য কৃষক অজান্তে বিপুল পরিমাণ বালাইনাশক ব্যবহার করেন। এতে এক দিকে যেমন উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। অন্যদিকে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এজন্য সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা সর্ম্পকে সম্মক ধারণা থাকা প্রয়োজন। আবার অনেকে বাণিজ্যিক ভাবে ফসল উৎপাদন করেন। সেক্ষেত্রে সময় মত কি পরির্চযা নিতে হবে তা হয়ত অনেকে অবগত নন। কেউবা আবার শখের বসে কৃষি কাজ করতে চান কিন্তু ফসল রক্ষার কৌশল জানেন না। তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে রোগ বালাই দমন এমনকি যত্নআত্তির কৌশল রপ্ত করার জন্য ধর্ণা দিতে হয়। বাংলা ভাষায় ফসল উৎপাদন বিষয়ক অনেক পুস্তকাদি থাকলেও কৃষকের প্রশ্নের সরাসরি জবাব খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এ প্রেক্ষাপটে “কৃষি জিজ্ঞাসা” বইটি রচিত হয়েছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর