কষ্টে ফলানো সোনালী ধান বৈশাখী উৎসবের আমেজ নিয়ে ঘরে তুলেছেন আশাশুনির কৃষকরা। আশাশুনির প্রতিটি গ্রামের কৃষক পরিবারের শিশু কিশোর, বয়স্ক সবাই নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দে মেতে উঠেছেন।
বৈশাখের শুরু থেকেই পাকা ইরি ধানের মৌ মৌ গন্ধ বাতাসে। সোনালী ইরি ধানের ঘ্রাণে কৃষকের মুখে সুখের হাসি দেখা গেছে। প্রখর রোদে দিনভর ব্যস্ত সময় পার করছেন ধান কাটা, মাড়াই, ধান সিদ্ধ করা ও শুকানোর কাজে কৃষক-কৃষাণীরা। তৈরি করেছেন ক্ষেতের আশে পাশে অস্থায়ী বসতঘর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইরি চাষকে ঘিরেই এই সময়টায় কৃষক ও তাদের পরিবারের সকল সদস্যের ধ্যানজ্ঞান। আশাশুনির কৃষকদের মাঝে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটায় একদিকে যেমন স্বল্প সময়ে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে, তেমনি শ্রমিক সংকটও অনেকটাই নিরসন হয়েছে। ফলে কিছুটা লাভের আশা করছেন চাষিরা।
অপর দিকে যে সব এলাকায় হারভেষ্টর মেশিন নেই সে সব এলাকার কৃষকরা কিছুটা হলেও শ্রমিক সংকটে ভুগছেন। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে চাষের শুরুতে আবহাওয়া চাষ উপযোগি হওয়ায় যে দিকে চোখ যায় শুধু ধান কাটা মাড়াইয়ের উৎসবমুখর পরিবেশ।
এবছর মেঘ মুক্ত নীল আকাশে প্রখর রোদে কষ্টে ফলানো ইরি ধান জমি থেকে কেটে ধান শুকানোর স্থানে নিয়ে এসে শুকাতে পেরে কৃষকের মুখে দেখা গেছে হাসির ঝিলিক।তবে সম্প্রতিক “মোকা”ঘূর্নিঝড়ের আশাঙ্কায় কৃষকদের কিছু টা দুঃচিন্তায় ফেলেছে।
এ পর্যন্ত আশাশুনি এলাকার প্রায় ৮৫ ভাগের বেশি জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। ধান সংগ্রহের পাশাপাশি চলছে গো-খাদ্য বিজলি শুকিয়ে সংরক্ষণের কাজও।
বুধহাটা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, বিলের মধ্যে ধান পরিবহনের সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় কাটা ধান ট্রলি ও ভ্যান দিয়ে বহন করে বাড়ি নিতে গিয়ে খুবই কষ্ট করছেন কৃষকরা।
আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম বলেন, এবছর উপজেলার বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটা প্রায় শেষের পথে। উপজেলার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ফসল জাতীয় খাদ্য ভা-ারে যুক্ত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।