গোয়ালন্দে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ২রা এপ্রিল ২০২৩ ০৭:০৮ অপরাহ্ন
গোয়ালন্দে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রবিবার (২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের হাবিল মন্ডল পাড়া এলাকায় কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পানি কচুর মাঠ প্রদর্শনী ও পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করতে মাঠ দিবস উদযাপন করা হয়।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান এর সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার (ডি এ ই) গোলাম রাসুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান। প্রদর্শনী কৃষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের তোরাপ শেখের পাড়া এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা ও পুরসভা প্রাপ্ত হুমায়ন আহমদে। অনন্যাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উজানচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামচু মন্ডল, উজানচর ইউপি সদস্য মো. রাসেল মন্ডল প্রমুখ।


মাঠ দিবসে কৃষক হুমায়ন আহমেদ বলেন, প্রথমবারের মতো চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ২০ শতাংশ জমিতে কন্দাল (পানি কচুর) আবাদ করেছি। ইনশাআল্লাহ কচুতে ভালো ফলন হবে। আশা করছি ২০ শতাংশ জমির কচু ৭০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো। আগামীতে আরও ৫-৭ বিঘা জমিতে এ কচুর আবাদ করবো। তিনি আরও বলেন, আমার কচু চাষ দেখে অন্য কৃষকেরাও কচু চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ‘পানি কচু আবাদ ধান চাষের চেয়েও অনেক লাভজনক। প্রকল্পের আওতায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে কচু চাষ করে লাভ হবে। তাছাড়া এ জাতের কচু পুরোঅংশ রান্না করে খাওয়া যায়।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, পতিত জায়গায় চাষাবাদের আওতায় আনতে এই মাঠ দিবসের আয়োজন। কোথাও কোন প্রকার জমি ফেলে রাখা যাবে না। বালু বা পানি জমে থাকে এমন জমিতেও উপযোগী ফসল রোপন করতে হবে। এ জন্য পানি কচু চাষাবাদ বেশ জনপ্রিয় একটি ফসল। কৃষকদের পতিত জমিতে পানি কচুর মতো সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করতেই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। পরে কৃষক হুমায়ন আহম্মেদ এর রোপনকৃত কচু খেত পরিদর্শন করেন কৃষি কর্মকর্তাগন।


এ সময় জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার গোলাম রাসুল বলেন, কোন্দাল (পানি কচু) ফসল প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আশা করা যায় এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কৃষকরা লাভবান হবে। তিনি আরও বলেন, কচু চাষ কেবল আর্থিকভাবে লাভজনক নয়, এটি আয়রণ সমৃদ্ধ সবজি যা, শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি নিরাপত্তায় দারুণ ভূমিকা রাখে।