লালপুরে বোরো ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ আশিকুর রহমান টুটুল, জেলা প্রতিনিধি, নাটোর
প্রকাশিত: শনিবার ২৪শে ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
লালপুরে বোরো ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক

প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ। পৌষের কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে নাটোরের লালপুরে মাঠে মাঠে বোরো ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এক মাসের মধ্যে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন শুরু হবে। তাই অনেক কৃষক আগে ভাগেই জমি প্রস্তুতির কাজও করছেন। বোরো ধান চাষে আগ্রহী করতে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে প্রণোদনার আওতায় উপজেলার প্রায় ২ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে উন্নত জাতের বোর ধানের বীজ, সার ও প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে।

 

লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য ৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরী করা হবে। এপর্যন্ত ৬০ হেক্টর বীজতলা তৈরী করে তাতে বোরো ধানের বীজ রোপন করা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে বাঁকি জমিতেও বীজতলা তৈরীর কাজ সম্পর্ন হবে। 


সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘনকুয়াশা, উত্তরের শীতল হাওয়া সব মিলেয়ে কনকনে শীত উপেক্ষা করে মাঠে মাঠে কৃষকরা পাক কাঁদা মাড়িয়ে সকাল থেকে বোরো ধানের বীজতলা তৈরী করছেন। অনেক কৃষক আবার জমি প্রস্তুতের কাজ করছেন। 


এমন শত ব্যস্ততার মাঝেও কথা বলতে চাইলে মোস্তফা কাউছারসহ স্থানীয় কৃষকরা বলেছেন, বোরো ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ। আর কিছু দিন পরেই জমিতে বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ শুরু হবে তাই তারা এখন ভীষন ব্যস্ত।এই অঞ্চলের বেশির ভাগ কৃষকরা বর্ষা মৌসুমে রোপা আমন ধানের চাষ করে থাকেন। তার পরেও কৃষি অফিসের পরামর্শে গত কয়েক বছর থেকে এই উপজেলায় কম খরচে বোরো ধান চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ায় লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। তবে উপজেলার দুড়দুয়িরা, দুয়ারিয়া ও আড়বাব এলাকায় বোরো ধানের চাষ বেশি হয়। বোরো ধান চাষীরা আরো জানায়, গত বছর বোরো ধান চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ায় এবারও তারা বোরো ধান চাষ করেছেন।’ 


লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছর থেকে এই অঞ্চলের কৃষকরা বোরো ধানের চাষ করছেন।এবছর কৃষকদের বোরো ধান চাষে আগ্রহী করতে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে প্রণোদনার আওতায় উপজেলার প্রায় ২ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে উন্নত জাতের বোরো ধানের বীজ, সার ও প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে।’