প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪০
রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন থেকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কক্সবাজারে তিন দিনের অংশীজন সংলাপের মূল অধিবেশনে তিনি সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরে দ্রুত রোডম্যাপ তৈরির তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু জাতিগত নিধন রোধে সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা নৈতিক দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, প্রথম প্রস্তাব হচ্ছে—রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য জরুরি রোডম্যাপ তৈরি। দ্বিতীয়ত, জীবনরক্ষাকারী কাজ চলমান রাখতে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং ভবিষ্যতের জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন।
তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি রোহিঙ্গাদের উপর সব ধরনের নিপীড়ন অবিলম্বে বন্ধ এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তর বাস্তুচ্যুতদের নিজ বাড়িতে ফিরতে দেওয়ার আহ্বান জানান। চতুর্থ প্রস্তাবে সংলাপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিতে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথা বলেন।
পঞ্চম প্রস্তাবে আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়। ষষ্ঠ প্রস্তাবে জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীজনদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সপ্তম প্রস্তাবে তিনি বলেন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে ন্যায়বিচার ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি জানান, দেশ এখন স্থিতিশীল এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরও গতি পাবে এবং সমস্যার স্থায়ী সমাধান বেরিয়ে আসবে।