আষাঢ় শেষে শ্রাবণ মাসের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও বৃষ্টি দেখা না দেওয়ায় জয়পুরহাটে পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকেরা চলতি রোপা আমন ধান রোপণ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
আষাঢ় শ্রাবণের ভরা মৌসুমে মাঠে থৈ থৈ পানি থাকলেও এবার তীব্র তাপদাহে মাঠে পানি না থাকায় জমি শুকে ফেটে চৌচির হয়েছে।অপরদিকে জমিতে হালচাষ ও চারা রোপন করতে না পারাই বীজতলাতেই মরে যাচ্ছে আমনের চারা।
এভাবে আর কিছু দিন চলতে থাকলে সেচ দিয়ে জমি চাষ ছাড়া কোন উপায় নেই। এতে করে রোপা আমন চাষে যেমন খরচ বৃদ্ধি পাবে,তেমনি সময়মত চারা রোপন করতে না পারলেও আগামী রবি শষ্য লাগানো যাবে না বলে মনে করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়,এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার উচাই গ্রামের কৃষক বিশ্বনাথ তিগ্যা বলেন, শ্রাবণের সপ্তাহ শেষেও আকাশে বৃষ্টি নেই।এদিকে প্রখর রোদে মাঠের জমি ফেটে চৌচির হয়েছে। মেসি ট্রাক্টর দিয়ে জমিতে চাষ করে রাখতে চাইলেও জমির মাটি শক্তের কারনে হালচাষ করতে চাচ্ছেনা।
উপজেলার বহরমপুর গ্রামের কৃষাণী মিনারা বেগম বলেন, তীব্র রোদ আর গরমে আমনের বীজতলা পুড়ে গেছে। দোগচি করা আমনের চারা গুলোর জমিতে পানি না থাকায় মরে যাচ্ছে।
উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সড়াইল গ্রামের কৃষক মওলানা জালাল উদ্দিন বলেন,এসময় মাঠে কোন জমিতে আমনের চারা রোপন বাঁকী থাকে না। কিন্তুু এবার জমিতে চাষই দিতে পারি নাই।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. লুৎফর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহে অনেক এলাকায় আমন ধানের চারা মরে যাচ্ছে । মাঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সেচের মাধ্যমে পানি দিয়ে ধানের চারা বাঁচিয়ে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।