দীর্ঘ তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবনে গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বস্তির বৃষ্টি নামায় কিছুটা প্রশান্তি ফিরে এসেছে। বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত হওয়া বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসে এবং রাস্তাঘাটে জমে থাকা ধুলাবালি ধুয়ে যায়। তবে আজ বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে, ফলে নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এইসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বুধবার বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আরও জানানো হয়, ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাস অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন বিভাগে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশালের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও সিলেটের কিছু এলাকায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষ করে কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের আশঙ্কাও রয়েছে। এতে কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা কমে গিয়ে দিন ও রাত উভয় সময়েই আবহাওয়া স্বস্তিদায়ক থাকতে পারে।
গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়া সাধারণ মানুষ এ বৃষ্টিকে স্বাগত জানিয়েছে। বিশেষ করে কৃষক সমাজ বৃষ্টির ফলে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। চাষাবাদের উপযোগী পরিবেশ ফিরে আসায় তারা খুশি।
তবে শহরাঞ্চলের কিছু এলাকায় বৃষ্টির পর জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় জনদুর্ভোগ কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে ঢাকার নিম্নাঞ্চলে পানি জমে যাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই বৃষ্টিপাত সাময়িক হলেও প্রচণ্ড গরম থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে পারে। তবে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।