দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও দেখা দিতে পারে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। সোমবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের ১৪টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এই ঝড়ের সঙ্গে থাকতে পারে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিও। অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে এজন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এসব অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন নদীপথে চলাচলরত নৌযান এবং যাত্রীদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে নদীবন্দরগুলোতে আগেভাগেই ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে, যাতে করে যাত্রীসাধারণ ও জেলেরা ঝুঁকি এড়াতে পারেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে আকস্মিকভাবে নদী উত্তাল হয়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে দেশের কিছু অঞ্চলে বজায় রয়েছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সকাল বেলায় আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, কক্সবাজার, বান্দরবান ও পটুয়াখালীতে বর্তমানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিছু কিছু স্থানে এই তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
দুই ধরনের বৈরী পরিস্থিতি—একদিকে দমকা হাওয়াসহ ঝড়বৃষ্টি, অন্যদিকে মৃদু তাপপ্রবাহ—সাধারণ মানুষকে কিছুটা বিভ্রান্ত ও দুর্ভোগে ফেলতে পারে। বিশেষ করে খোলা আকাশের নিচে কাজ করা শ্রমিক, কৃষক ও যাত্রীদের জন্য এটি হতে পারে এক বড় চ্যালেঞ্জ।
আবহাওয়ার এই রূপ পরিবর্তন কৃষিক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন সবজির জমি, বোরো ধানের মাঠ কিংবা ফলের বাগান হঠাৎ ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়লে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
দেশজুড়ে বৈরী আবহাওয়ার এমন পূর্বাভাসে মানুষের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক ও সতর্কতা তৈরি হয়েছে। অনেকেই এরই মধ্যে তাদের ব্যক্তিগত পরিকল্পনা ও যাত্রা বাতিল করে ঘরে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যাতে ঝুঁকি এড়ানো যায়।