বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দ্রব্যমূল্য ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে জনগণের সমর্থিত, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, জনগণের কাছে জবাবদিহির ওয়েট আছে, এমন রাজনৈতিক সরকার দরকার। তিনি সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আয়োজিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক উপস্থিতি ছিল এবং তাদের মধ্যে এক ধরনের আন্দোলনের প্রতি আগ্রহ ও উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহমুদ শ্যামল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, জেলা বিএনপির সদস্য কবীর আহমেদ ভূঁইয়া এবং হাফিজুর রহমান মোল্লা।
আমীর খসরু বলেন, ‘নতুন বয়ান শুনছি, এই বয়ানে ১৬ বছরের কথা নেই, আন্দোলনের ৩৬ দিনে বিএনপির নেতাকর্মীদের অবদানের কথা নেই। কিছু ছাত্রনেতার কথায় মনে হয়, আন্দোলনটাকে তারা হাইজ্যাক করে নিয়ে গেছেন। কিন্তু আমরা এ আন্দোলনকে হাইজ্যাক করতে চাই না। আমরা বলছি, এ আন্দোলনের সফলতা বাংলাদেশের মানুষের সফলতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের বাহক। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আপনি দেখবেন, সব কিছু ক্রমান্বয়ে সহিষ্ণু অবস্থায় ফিরে আসবে। যেটা বিএনপির সময় দেখেছি, তবে আওয়ামী লীগের আমলে দেখিনি। কারণ শেখ হাসিনা নির্বাচিত ছিলেন না।’
এদিকে, আমীর খসরু মাহমুদ জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা ৩৬ দিনের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। শেখ হাসিনার পতনের পেছনে বিএনপি একযোগভাবে কাজ করেছে এবং এর ফলে আন্দোলন সফল হয়েছে।
এছাড়া, বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দলের ৬০০ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সমাবেশে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।