মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্য অঞ্চলে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটের কিছু স্থানে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে, রাতের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পাবে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
দেশজুড়ে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে বুধবার ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্ধিত ৫ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে তীব্র ঠাণ্ডার প্রভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অনেক অঞ্চলে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত গরম পোশাক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে গৃহহীন মানুষ এবং শিশু-বৃদ্ধদের জন্য বিশেষ সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। দেশের বিভিন্ন স্থানে সামাজিক সংগঠনগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়ার এই বিরূপ পরিস্থিতি সাময়িক হলেও এর প্রভাব জনজীবনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। তাই জনসাধারণকে এ সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।