রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের সাবেক সেক্রেটারি ও সাবেক এমপি হাফেজা আসমা খাতুনের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবারের এ অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অতীতে দলের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, যা থেকে জাতির শিক্ষা নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অনেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন, এমনকি মা-বাবার জানাজাতেও অংশ নিতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, দমন-পীড়ন কোনো রাজনৈতিক সমাধান হতে পারে না। দেশের জন্য কল্যাণকর কিছু করতে হলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। এ সময় তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী অতীতের মতো ভবিষ্যতেও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, হাফেজা আসমা খাতুন শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ সংগঠকও ছিলেন। তিনি নারী নেতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং দলের প্রতি তার অবদান অপরিসীম। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ৪৩ হাজার নারী রুকন তাকে হৃদয়ে ধারণ করেন এবং তিনি ছিলেন নারী জাগরণের আদর্শ।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক গোলাম পরওয়ারও এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল নাম হাফেজা আসমা খাতুন। তিনি নারী সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে তার অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি আরও বলেন, দুঃসময়ে দলকে সংগঠিত রাখতে হাফেজা আসমা খাতুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তার নেতৃত্বে দলের মহিলা শাখা সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর নারী নেতারা দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছেন।
অনুষ্ঠান শেষে হাফেজা আসমা খাতুনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় নেতাকর্মীরা তার অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং তার স্মৃতিকে সম্মান জানান।
এই স্মরণ ও দোয়া মাহফিলে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী আগামী দিনেও দলীয় নেতাদের ত্যাগ ও আদর্শ অনুসরণ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে এগিয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।