বাগানে বর্তমানে ৫০ জাতের বিদেশি আম, ২০ জাতের আঙ্গুর, ১০ জাতের কমলা-মালটা, ৭জাতের ড্রাগন গাছ, আফ্রিকান পিচ ফল, তুরকী মালবেরি, বিদেশী রামবুটান, ফিলিপাইন আখ, আপেল, মিরাকেলবেরি, লুকাট, ত্বীন, জামরুল, সালাক, আতাফল ও অন্যান্য বিদেশী জাতের ফলের গাছ দেখা যায়। আমের মধ্যে রয়েছে আলফানসো, আমেরিকান কেন্ট, হিমসাগর, চেংমাই, পাকিস্তানি চোষা, গৌরমতি, কটিমন, সূর্য ডিম, বৈশাখী, বান্দি মুড়ি, হাড়িভাঙা, কিউজাই, মহাচনক, ব্রনাই কিং, ব্যানানা, আম্রপালি ও সুপার ভাগোয়া। কমলা-মাল্টার মধ্যে হানিডিউ, কমলা তারাক, রুপি গ্রেপ, কারা কারা অরেঞ্জ, ওয়াশিংটন নেভাল, চায়না কমলা ও থাই-২। আঙুর জাতগুলোতে রয়েছে গ্রিল লং, এলিস, ফ্যান্টাসি, বাইকুলুর, জয়, ভিতুবি বø্যাক ও এবিউ জায়ান্ট।
রেজাউল করিম দৈনিক কর্মব্যস্ততার ফাঁকে নিজেই বাগানের পরিচর্যা করেন। তিনি জানান, ২০১৭ সালে শখের বশে বিদেশি আমের কয়েকটি জাত রোপণ করে বাগান শুরু করেন। বর্তমানে বাগানটি দুই একর জমিতে বিস্তৃত এবং দর্শনার্থীরা আগমনের পাশাপাশি কৃষি উদ্ভাবনার শিখর হিসেবে বাগানটি দেখতে আগ্রহী।
স্থানীয়রা বলেন, রেজাউল করিমের উদ্যোগে দেশের মাটিতে বিদেশি ফলের প্রজাতি চাষের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। বড়লেখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন এবং মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীনও এই বাগানকে অনুকরণীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রেজাউল জানান, বাগানের উদ্দেশ্য বিষমুক্ত নিরাপদ ফল উৎপাদন, পরিবারের চাহিদা মেটানো এবং ভিনদেশি ফলের অভাব পূরণ করা। ইতিমধ্যেই স্ট্রবেরি বিক্রি করে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার আয় হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ফল বিক্রি করে আরও আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাগানকে বাণিজ্যিকভাবে সম্প্রসারিত করে স্থানীয় কৃষকদের জন্য উদ্ভাবনী দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব হবে।