চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কুনমিংয়ের হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের মানুষদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস চট্টগ্রাম থেকে কুনমিং রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম-কুনমিং রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে যাতায়াতের ব্যয় এবং সময় উভয়ই কমে আসবে, ফলে আরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক সহজে চীনের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে কুনমিংয়ে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী মানুষদের জন্য একটি দ্রুত এবং সহজ পথ উন্মুক্ত হবে।
এছাড়া, চীনে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য কুনমিং শহরের চারটি হাসপাতাল বিশেষভাবে ডেডিকেটেড করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে চীনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা আরও সহজতর হবে। তবে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, বিমান টিকিটের উচ্চ দাম কুনমিং শহরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
চট্টগ্রাম-কুনমিং ফ্লাইট চালু হলে যাতায়াত খরচ এবং সময় অনেকটাই কমে আসবে। এর ফলে বাংলাদেশিরা আরও সহজেই চীনে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, কুনমিংয়ের হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশিদের জন্য আলাদা ফ্লোর বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবং একজন চীনা নাগরিকের সমান ফি দিয়েই বাংলাদেশি রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারবেন।
কুনমিং ভ্রমণ সহজ করতে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে কুনমিং রুটে বিমানভাড়া কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা, যা ওই অঞ্চলের রোগীদের জন্য দারুণ সহায়ক হবে।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য আরও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ আরও উন্নত চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবে।
এপ্রিলে বাংলাদেশের একদল সাংবাদিককে কুনমিংয়ে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারা সরেজমিনে কুনমিংয়ের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার সুবিধা এবং চিকিৎসার মান পরিদর্শন করবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ কুনমিংয়ের চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে আরও তথ্য পাবে।
গত মাসে প্রথমবারের মতো কিছু বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য কুনমিংয়ে যান এবং তারা সেখানকার হাসপাতালের সেবার মানের প্রশংসা করেন। তবে, তাদের মধ্যে অনেকেই যাতায়াত ব্যয় নিয়ে কিছুটা অভিযোগ করেছেন, যা নতুন ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।
চট্টগ্রাম-কুনমিং ফ্লাইট চালু হলে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য চিকিৎসা সেবা গ্রহণের পথ আরও সহজ হবে এবং নতুন একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসেবা বিকল্প উন্মুক্ত হবে।