মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় ডাকাতদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দরে ডাকাতি করতে গেলে জনতার প্রতিরোধের মুখে ডাকাতরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে দুই জেলার অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা সাতজন ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ডাকাতরা কীর্তিনাশা নদীতে একটি বাল্কহেডে হামলা চালিয়ে লুটপাটের চেষ্টা করছিল। খবর পেয়ে এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এতে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে, এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে ক্ষুব্ধ জনতা ডাকাতদের ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক মারধর করে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে মাদারীপুরের অনিক সরদার, সালাউদ্দিন সরদার, দুলাল সরদার, সাইমসহ বরগুনা থেকে আসা শ্রমিক হেলাল মোল্লা রয়েছেন। তাদের মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
শনিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ৮টায় কালকিনি উপজেলার রাজারহাট এলাকায় ডাকাতির খবর পাওয়া যায়। স্থানীয়রা প্রতিরোধ করলে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে এবং শরীয়তপুরের দিকে পালানোর চেষ্টা করে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী আলামিন ফকির জানান, হঠাৎ স্পিডবোটে ডাকাতদের আসতে দেখেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা গুলি ছোড়ে, এতে তিনি আহত হন ও জ্ঞান হারান।
শরীয়তপুরের ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকায় পালানোর সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ডাকাতদের ঘিরে ধরে এবং গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুনতাসির খান জানান, ডাকাতদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। বাকি পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত সাধারণ জনগণের মধ্যেও কয়েকজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্ত ডাকাতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।