দেবীদ্বারে সিএনজি ও অটো চালকদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: সোমবার ৩০শে জানুয়ারী ২০২৩ ০৯:২৮ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে সিএনজি ও অটো চালকদের বিক্ষোভ

কুমিল্লার দেবীদ্বারে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও সিএনজি চালিত ও ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সাসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে চালকরা। সোমবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে নিজ নিজ গাড়ি নিয়ে কয়েকশত বিক্ষোভকারী মিছিল সহকারে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে প্রায় ৫ ঘন্টা যাবৎ ওই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় তারা নানা শ্লোগান দেয় এবং দাবী-দাওয়া জানাতে থাকে।


বিক্ষোভকারীরা জানায়, গত ৯ জানুয়ারী উচ্চ আদালতের বিচারপতি জাফর আহেমদ ও বিচারপতি মো. বশিরুল্লাহর দ্বৈত বেঞ্চ দেবীদ্বার পৌর এলাকার ৬টি পরিবহন স্ট্যান্ড ইজারাদানের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন। কিন্তু ইচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও সাবেক ইজারাদার সুমন কাজী ও সোহাগ কাজী জোর পূর্ব অর্ধশতাধিক সিএনজি চালক থেকে ৩ হাজার টাকা করে বার্ষিক রেজিষ্ট্রেশন ফি আদায় এবং পুলিশের টোকেনের ৩শত এবং ৫শত টাকা আদায় করে। তারা রোডে সিএনজি নামলেই দৈনিক টোকেন মানি আদায় করে। টাকা বাকী রাখতে চাইলে বা না দিলে ১৫/২০ দিনের জন্য সড়ক থেকে বহিস্কার করে দেন এবং সড়কে গাড়ি নামতে দেয়না।


ইজারাদারের সাথে নতুন করে যুক্ত হয় ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজী। ট্রফিক পুলিশের ইনিস্পেক্টর (টিআই) লোভেল দেবীদ্বারে যোগদানের পর যানজট নিরসনে মনোযোগী না হয়ে হাইওয়ে সড়কের থানা গেইট, বারেরা সরকারবাড়ি মসজিদ ও গোপালনগর গ্যাস ফিল্ড এলাকায় চৌকী বসিয়ে চাঁদাবাজী করে আসছে।


বেলা ২ টায় সিএনজি চালক মো. মোস্তফার নেতৃত্বে একদল চালক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দেখা করে তাদের অভিযোগ জানান। অভিযোগ শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপনারা ভুয়া ইজারাদার, ট্রাফিক পুলিশসহ কাউকে চাঁদা দেবেননা। আমরাও সময় করে মোবাইল কোর্টে অপরাধীদের সাজার ব্যবস্থা করব।


উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রেজুলেশন করে সিএনজি ষ্ট্যান্ড ইজারা প্রদান বন্ধ করেছে। পৌর এলাকার ৬টি পরিবহন ষ্ট্যান্ড ইজারা প্রদান না করতে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। সড়কে কোন চাঁদাবাজী চলবেনা এবং জনস্বার্থে প্রশাসনের পক্ষথেকে যাত্রীদের পরিবহনে ভাড়া নির্ধারন করা হবে।