প্রকাশ: ২ জুলাই ২০২৫, ২১:৫০
ঢাকার কামরাঙ্গীচরে স্ত্রীর টিকটক ভিডিওর সূত্র ধরে স্বর্ণ চোর সিন্ডিকেটের এক সদস্য মো. সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লার দেবীদ্বার থানা পুলিশ। স্ত্রীর গায়ে থাকা গহনার উৎস সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে অভিযানে নামে এবং মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় এলাকা থেকে সোহেলকে আটক করে। সোহেল মিয়া কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চন্দ্রনাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে।
দেবীদ্বার থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, সোহেল দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে থেকে স্বর্ণের দোকানগুলো চিহ্নিত করে চুরি করত। এসব চুরির কাজে তার সঙ্গে একটি সুসংগঠিত সিন্ডিকেট কাজ করত। স্ত্রীর টিকটক ভিডিওতে ব্যবহৃত চোরাই স্বর্ণের গহনার সূত্র ধরে তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। সোহেলের স্ত্রী শাহীন ওই গহনা পরে নিয়মিত ভিডিও বানাতেন, যা পুলিশের সন্দেহের জন্ম দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে দেবীদ্বার নিউমার্কেট কলেজ রোডের 'বারেক প্লাজা'র গলিতে অবস্থিত ‘খাদিজা শিল্পালয়’ নামক স্বর্ণের দোকান থেকে ৪০ ভরি স্বর্ণ চুরি হয়। ওই সন্ধ্যাতেই চুরি করা স্বর্ণ বিক্রির সময় কুমিল্লা ইপিজেড এলাকায় এক দম্পতি আবু তাহের ও শারমিন আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে সিন্ডিকেট প্রধান আবুল কাসেমের নাম, যাকে পরে মুরাদনগর থেকে আটক করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে সোহেলের নাম প্রকাশ হলে তাকে ধরতে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অনুসন্ধান চালায়।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, এ পর্যন্ত স্বর্ণচোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এই চক্র দীর্ঘদিন ধরেই কুমিল্লা ও আশপাশের জেলায় স্বর্ণ চুরির সাথে জড়িত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় আবারও প্রমাণ হলো, অপরাধ ঢাকতে যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, প্রযুক্তির যুগে ছোট একটি ভিডিওও হতে পারে বড় রহস্য উন্মোচনের সূত্র।